(বাবা) খান খান হয়ে গেছেন দুঃখ কষ্টে ভুগে ভুগে -- ; তিনি ভাঙ্গাচোরা ব্যাক্তি।
(বাবা) খান খান হয়ে গেছেন দুঃখ কষ্টে ভুগে ভুগে -- ; তিনি ভাঙ্গাচোরা ব্যাক্তি। মস্তান ; তারপর ফকির-মিসকিন এবং এভাবেই এখন সমাজের নিগৃহীত একেবারেই নিম্ন শ্রেণীর পুরুষদের মধ্যে এমন বাবা অনেক--; অনেকই রয়েছে।
এই ব্যক্তিদের হৃদয় ভেঙ্গে খানখান হয়ে গেছে--- এখন আর কোন কিছুতেই মন লাগবে না তাদের। ভালোবাসার মূল্যায়নও এই (বাবা) বয়সে অনেক কমে গেছে। হায় !! মানব সৃষ্টির রহস্য --; এটা বোঝা বড় দায়!!
কিন্তু কথা তবুও থাকে। এভাবে ভাঙ্গাচোরা হৃদয়ের অধিকারী করে বিশেষভাবে নিজেকে তৈরি করে নিলে পরে মৃত্যুকে সানন্দে আলিঙ্গনের জন্য প্রস্তুত করা যায়—আর এই ভাবে (স্রষ্টা) আল্লাহকেও দেখা যাবে। এটা একটা সুন্দর বিশ্বাস। বর্তমান সময়ে এটাই কি অপূর্ণতার হয়ে গেছে এবং সংস্কৃতির ডামাডোলের মধ্যে নিকৃষ্ট রকমের অশান্তির যাবতীয় কারণ হল? আর তাইকি এসব কিছু পর্যালোচনা দিয়েই সাজানো গোছানো আমাদের সাধারণ আর অসাধারণ দিনরাত্রি।
এই পৃথিবীতে আসলে কোন কিছুরই অস্তিত্ব নাই-- সবই পরে শুধুই খালি--, তেপান্তরের মাঠ তৈরি হচ্ছে, এর ব্যাবস্থাপনার করুন দশা, সংগীতের যাবতীয় অশান্তি, চারিদিকেই কি তাই মৃত্যুর এই হাতছানি আর ফাঁকা বুলি।
আধুনিক যুগে কমিউনিকেশনের অনেকগুলি মাধ্যম রয়েছে। এই কমিউনিকেশন ছাড়া বর্তমান যুগ পুরাপুরি অচল। আমরা আমাদের কানের চারপাশে-- এই ঘর্মাক্ত কপাল আর মুখমণ্ডলের চারপাশেই 'একনাগাড়ে' যা দেখচি এবং দৃষ্টিসীমানার ভেতরে ও বাইরেও তো আরো অনেক কমিউনিকেশন এবং এর মাধ্যমগুলিও দেখতে পাচ্ছি।
এখন এই কমিউনিকেশন ছাড়া আমরা পৃথিবীতে কোন কিছু ভালো ভাবে করার কথা ভাবতেও পারি না বা ভাবলেও সেটার approval কোথাও পাওয়া যাবে না-- বলে বুঝেছি।কিন্তু তা জানিনা কেউই; --সেই কার্যক্রমটি একটি ব্যর্থ fiasco তে পরিণত হবে কিনা অবশেষে!!
এই যে অপার্থিব অথচ পার্থিব জীবনের তকমা আটা এই যে কমিউনিকেশন; এই কমিউনিকেশনও ---সেটা যত জরুরি হোক না কেন; এমনকি 911 হলেও-- তা কিন্তু সম্পূর্ণ রকমের ইনোসেন্ট নয়।
কমিউনিকেশনের অনেকগুলি ধাপ আছে। আগেই ছিল….! এগুলো আবার পরস্পর সম্পূরক।
পুরাতন ধাপ গুলি এখন অপ্রয়োজনীয় মনে হয়, কিন্তু তারপরেও আমরা নতুন কমিউনিকেশনের চেষ্টা করতে থাকি এবং পুরাতন কমিউনিকেশন মাধ্যমগুলি ভাষা অথবা ইনফরমেশনের (টেকনোলজি) মাধ্যমে আমাদেরই নানান utility র সাথে,আর তার সাথেই ব্যবহার করি,এবং নির্দ্বিধায় করছি।
আমরা পুরাতন কমিউনিকেশন কে আমাদের স্মৃতিতে সংরক্ষিত রাখি -- শিক্ষা মাধ্যমের বিকাশের ধারাবাহিকতায় যার অধিকাংশই এখন অনুল্লেখিত থাকে বা অতি সাম্প্রতিক কোন মেমো হিসেবে উল্লেখ করা গেলে, তো উল্লিখিত হয়ে থাকে। এবং এর অনন্য সুবিধাগুলি কি কি সবাই তা জেনেছে,অনেক মানুষই সুবিধাগুলো এখন ভোগ করে থাকে। বিশেষত এমন যারা আছে -- যারা বুদ্ধি ভিত্তিতে দুর্বল লোক এবং এমন হতে পারে যে, যাদের জ্ঞানের ভিত্তি sublime পর্যায়ে রয়েছে অথবা হয়তো বিশেষ কোন কারনে খুবই প্রাথমিক পর্যায়েই তারা চিন্তা করে যাচ্ছে; এখনো। তারা…! কিন্তু প্রতিভা থাক বা না থাক অপরাধের মাত্রা নির্ধারণ করা হয় জ্ঞানের ভিত্তির উপর থেকেই। সুতরাং জ্ঞানের ভিতর যদি ভাইরাস থাকে, ঘুন পোকা ধরে-- তাহলে কি হতে পারে!!
কিন্তু যুগ তো এগিয়ে গেছে। তাই কমিউনিকেশনের উপর যারা দখল রাখতে পারে তাদেরকে অগ্রগামী বলা চলে। কিন্তু আগ্রাসী হয়ে গেলে এই কমিউনিকেশন হচ্ছে, বা হবে হয়তো -- বর্তমানে এক একটা বিরাট বড় mess, বা তৈরি হবে একেবারে জগাখিচুড়ি (hodgepodge)কোন অবস্থা। যার কোন head এবং tail এখন খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
এখন এখানে এই অবস্থায় ধ্রুব সত্য বলে কোন কিছুকেই কল্পনা করা সম্ভবপর হচ্ছে না, এই দুর্গতি-- পরিস্থিতি নিরীক্ষা করে এটা বেশ ভালই বুঝা যাচ্ছে। এখন মানুষকে প্রতি মুহূর্তেই সিদ্ধান্ত নিতে হয় যে, সে কোথায় কমিউনিকেট করবে এবং কোথায় কোথায় যোগাযোগ তার কাছে একেবারেই অপ্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে বিধায় কোন কমিউনিকেশন আর সে রাখবে না।
এসবের কারণ হচ্ছে, মানুষ নিজের স্বার্থ আরো ভালোভাবে দেখতে পায় বর্তমান চোখে এবং সে অনেক ধরনের পুরাতন কমিউনিকেশন গুলিকে সহজে এনালাইসিস করে ফেলে খুব দ্রুত এবং আরও সত্য যে, কোন একটা ভবিষ্যৎ ভুয়ো-দর্শন দাঁড় করিয়ে নিয়ে সেগুলিকে এখন অপ্রয়োজনীয় মনে করে আর তার 'মন থেকে' মুহূর্তেই বাতিল করে দেয় বা দিতে পারে।
কিন্তু যারা স্বার্থবাদী লোক আছে তারা তো শুধুমাত্র স্বার্থান্ধতার কারণে কিছু কিছু কমিউনিকেশন আর সেসব স্টাবলিশমেন্ট ধরে রাখতে চাইবেই। এতে করে তাদের স্বার্থসিদ্ধির পরিপূর্ণতা লাভ করে বলে হয়তো তারা বুঝেছে। এই শ্রেণীর লোকেরা তাদের কার্যক্রম শুধুমাত্র স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যেই এবং উপরন্তু এভাবে অন্যকে ও influence করার জন্য এবং convince করার জন্য পরিচালিত করে থাকে!
ভেবে দেখেন আপনি; এমন কোন একটি স্থানের কথা ভেবে দেখেন; যেখানে ভয়াবহ রকমের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ষোলো আনাই থাকে, আর সেখানে না আছে কোন নিরাপত্তা….! যে কোন সময় একটি রক্তাক্ত কান্ড ঘটে যেতে পারে,যখন তখন...।
এরূপ পরিস্থিতি যেখানে বিরাজ করে তখন সেখানে কিভাবে কমিউনিকেশন তৈরি করবেন? এর জন্যই তো আপনাকে এটা আগেই ব্যাপকভাবে ভেবে নিতে হবে-- এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে নিজের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে একটি সফলতা কিংবা ব্যর্থতার আলোকে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে এনালাইসিসও করে নিতে হবে। যেমন ভাবে সংগীত জগতের ধারাবাহিক কথাগুলি গড়ে উঠেছে।
ব্যাপারটা হচ্ছে ঠিক এরূপ যেমন; এইরকম ক্ষেত্রে কি কি ধরনের কমিউনিকেশন গুলি কার্যকর হতে পারে অথবা, আর এখন আপনি যা যা চাইছেন সেরকম ভাবে অন্যদেরকেও বুঝাতে আপনার আগের সেই দক্ষতার, সেই সময়কার সক্ষমতা বেড়েছে কিনা? অথবা নতুন করে আবারো সক্ষমতা কিভাবে অর্জন করা যায়, শুধুই সেই কার্যক্রম পরিচালনা!
যদি আপনি অন্যদেরকে এটাই বুঝাতে না পারেন তাহলে এই কমিউনিকেশনের কোনই মূল্য নেই। তখন যে জিনিসটি বাকি থাকবে-- তা হচ্ছে আপনি আপনার কমিউনিকেশনকে নুতন করে আবার কিভাবে ঢেলে সাজাবেন এবং কোথায় কোথায় 'অধিকতর গুরুত্ব' দিতে হবে এবং এবার একটি একটি করে অনেক 'অপূর্ণতার সাপেক্ষে' কোন কোন অবাস্তব এবং অযোগ্য অংশগুলি বর্তমানে একদম গুরুত্বহীন হয়ে গেছে, সে সম্বন্ধে অন্যদেরকেও সচেতন করতে হবে।
মানুষ তার নিজের বিশ্বাস বা ব্যক্তিগত ধর্মকে কিভাবে ব্যক্ত করবে সেটাই কি সর্বসাকুল্যে বলতে গেলে এইসব মানুষদের ধর্মীয় আচরণের মধ্যে প্রকাশ পায় না!!!
ব্যক্তির জীবনে বিভিন্ন রকমের চাহিদা তৈরি হয়ে থাকে। চাহিদা প্রাথমিক পর্যায়ের হলে বা sublime কন্ডিশনে যদি ব্যক্তির এখনকার অবস্থান থাকলে সেসব চাহিদা গুলো কি হতে পারে তাও অতি সহজে অনুমান করা যায়। এগুলি হচছে -- অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থান!
কিন্তু মানুষের মনের মধ্যে যদি সারাক্ষণ জীবিত থাকার বাসনা অতি জোরালোভাবে প্রকাশ পেতে থাকে তবে তাহলেই এটাও নিশ্চিত যে, কোথাও না কোথাও তার অন্য কোন ধরনের সমস্যা থাকতে পারে (গন্ডগোল!) বা সমস্যা রয়েছে কিংবা হয়তো সমস্যাটি পরেও তৈরি হতে পারে।
এমনও হতে পারে যে; সেটা ছিল কোন সামাজিক সমস্যা অথবা পরবর্তীতে সমস্যাটিকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চিহ্নিত করে নেয়া হয়েছে, এমনই কোন অসমর্থতার নির্দেশক কোন সমস্যা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন