সব ধর্মই আসলে ভালো। কোন ধর্মই খারাপ নয়। যখন প্রথম ধর্মটি আবিষ্কার হয়েছে সেই সময়টি বিবেচনায় ধর্মের মধ্যে কোন সমস্যাই নেই।

 সব ধর্মই আসলে ভালো। কোন ধর্মই খারাপ নয়।

যখন প্রথম ধর্মটি আবিষ্কার হয়েছে সেই সময়টি বিবেচনায় ধর্মের মধ্যে কোন সমস্যাই নেই।

প্রথম বারের মত যখন একজন পূজনীয় সৃষ্টিকর্তার ধারণা লাভ হয়েছিল সেটা ছিল তাদের জন্য খুবই সত্য।


কিন্তু আমাদের ইতিহাসের এই আলোচনায় সর্বশেষ সময় বিবেচনায় ধর্মের ভিতরে আমাদের মধ্যে এভাবে যত controversy বা ভাব বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা তো শুধু সময়ের সাথেই বেড়েছে।


যেকোনো বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের মতই ধর্মও এক একটি আবিষ্কার। কেননা সৃষ্টিকর্তাকে সরাসরি বা দিব্যদৃষ্টি দিয়ে তো দেখা যাবেই না। কেবলমাত্র সেই ব্যক্তি বাদে যিনি তাকে আবিষ্কার করার মত ক্ষমতা রাখেন। এবং মনের দৃষ্টি দিয়ে দক্ষতার সাথে দেখার ক্ষমতাও যিনি রাখেন। আর তিনিই তো শুধু সৃষ্টিকর্তাকে দেখতে পান। আর তিনিই তো হলেন সেই ধর্মের প্রচারক। 


সেই হিসেবে ধর্মের ভিতরে নিজ ধর্ম পরের ধর্ম এই হিসাবে কোন ধরনের অন্তর্কলহ বা সমস্যা থাকতে পারে না। কারণ বুদ্ধের দৃষ্টিভঙ্গি মোহাম্মদের দৃষ্টিভঙ্গির থেকে পৃথক হবেই। যিশুর দৃষ্টিভঙ্গিও আলাদা হবে পৌত্তলিক থেকে। এটাই তো স্বাভাবিক। 


যিনি সর্বপ্রথম একটি মূর্তির মাঝে সৃষ্টিকর্তাকে কল্পনা করেছেন তিনি কোন অপরাধ করেননি। যে ব্যক্তি একটি গাভীর মাঝে উপকারী পদার্থের উপস্থিতি দেখে একে পূজনীয় ভেবেছেন তারও কোন দোষই নাই,স্রষ্টার উদ্দেশে তারও এই নিবেদন। কেবলমাত্র সময়ই আমাদের মধ্যে এইসব ক্ষেত্রে অন্তরদ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছে।



সময় মানবীয় সব কিছুকে মলিন করে। আর মানবিক সবকিছুকেই সাময়িক এই সময় আবার নিয়েও তো যায়। থেকে যায় শুধু বহুল স্মৃতি কাতরতা।

যার যাকে ভালো লাগে সেই মতে তিনি ধর্ম চর্চা করতে পারেন। মানুষের জন্য  বিশ্বাসের বিষয় হল এই একটাই।আসলে বিশ্বাস, সেটা হলো এক সৃষ্টিকর্তা:- সবারই এটা অনুধাবন। তিনি হলেন সবার জন্য... মহান দয়াময় এবং ক্ষমাশীল।


বাকি যা থাকে সে সমস্যাটি হলো আমাদেরকে মৃত্যুর জন্য সদা সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। এবং ধর্ম বাদ দিয়েই প্রত্যেক ব্যাক্তিকে অতঃপর এটাই নিশ্চিত করতে হবে। প্রাণীজগতের মৃত্যু মানুষের মত হবে না...


সৃষ্টিকর্তাকে পেতে হলে ধর্মের কোনোই প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন হল শুধু মাত্র মৃত্যুর পরবর্তী চিন্তা মোকাবেলায় "উপস্থিত বিশ্বাসের" আর প্রবল সাহসের।


চোখে কোন সমস্যা থাকলে যেমন চোখের দোষ বা রোগ বলা হয় ঠিক তেমনি মনের চোখ দিয়ে না দেখতে পারলে সেটা একটা সমস্যাই বটে। হয়তো তার নাম  মনের রোগ বা মনোরোগ। কিন্তু এর জন্য Edmund Froid কে ডাকতে হবে বলে এরকম তো আমার কাছে  মনে  না।


মন্তব্যসমূহ

A2