ধর্ম কি করে পারফেক্ট হবে?
ধর্ম কি করে পারফেক্ট হবে?
মানুষ ক্রমবর্ধমান ভাবে অতীত এবং বর্তমানের মধ্যে সংযোগ সাধনে ব্যার্থ। ইতিহাসকে বাস্তবের সাথে মিলিয়ে নিতে আধুনিক মানুষেরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম বেশ দক্ষতা দেখিয়েছে। ব্যাক্তির কাছে এসবের কোনই উত্তর হয় না। ধর্মের কাছে উত্তর খুঁজেও পাওয়া যায় না। হয়তো ধর্ম কিছুই দিতে সক্ষম না। অথবা মানুষের আগ্রহ, অভিলাষ ও উচ্চাকাংখার কাছে একপ্রকার পরাভূত হয়ে ধর্ম কি করে আবার পারফেক্ট হবে? এমন প্রশ্ন মনে জাগতেই পারে। কিন্তু তবুও ধর্ম থাকতেই হয়। বিশ্বাস, আবেগ,ধীরতা, স্থিরতা ইত্যাদি ইত্যাদি আরো অনেক কিছুই ধর্মের অন্তর্গত। বিধায় এসব নিয়েও ব্যাপকভাবে আলোচনা চলে।
যদি সহজ অর্থে এটি ক্লোন করা হয়েছে তবুও কিন্তু বোঝা যাচ্ছে সব লোকেই একইভাবে ভাবতে পারেনা ! যত চেস্টাই করা হোকনা কেন মানুষের চিন্তার ভিন্নতা একই মাত্রার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকবে এমন ঘটনা সচরাচর ঘটে না।সুতরাং সার্বিকতার বিচারে এটা শুধুই বিশ্বাসের দৌড়। এবং একটি বিশেষ যুগ সন্ধিক্ষনে এমন ঘটনা ব্যাতিক্রম ভাবে যদি মাঝে মাঝে ঘটে বিশ্বাসের কোন প্রকার ব্যাত্য়য় কি হয়? এবং কিভাবে হয়। যুক্তি যেমন করে বা যেভাবে উপস্থাপন করা হবে তেমনি করেই মানুষ তাদের ভাবনা ভাববে, কারণ প্রত্যেকটা যুগেই বৃহত্তর চালচিত্রের মধ্যে দিয়ে এটাই দেখা যায় যে একটি "কৌন হ্যায়" জাতীয় এই রকমের একটি বাস্তব পরিস্থিতি সবাই টের পায় বা উপস্থিত থাকবেই। একটু উল্টো ভাবে চিন্তা করে মানুষকে প্রফেশনালী সন্মানিত ভেবে মান্য করতে গিয়েও দেখা যাচ্ছে যে অতিরিক্ত উপায়ে যে সম্মান দেখানো হয়ে থাকে তাতে করে অন্যদের সম্মানহানি করতে অনেক সুবিধা হয় এবং গনমানুষও সেটাই করে থাকে। অতিরিক্ত সন্মান পরিহারযোগ্য বিষয় হবে নাকি নিয়তীরই পরিহাস হয়।
মানবজাতির ভিতরে প্রত্যেকটা সমাজের লোকেরা পরিচয় নিয়ে একাধিক ভাবনা ভাবতে অভ্যস্ত কারন তারাও সবাই ভিন্ন ভিন্ন ভাবে চিন্তা করে থাকে। সেটা ধর্মীয় আবহে,অথবা পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতীক ইত্যাদি নানা উপায়ে চলে। এটা ভেবে দেখলে বোঝা যাবে কি যে মানুষরা কি আসলে ইট (Brick) নিয়ে চিন্তা করবে? "বিল্ডিং ব্লক'' ব্রিক নিয়ে চিন্তা করবে নাকি ইটের পাঁজা (Brick field) বা ব্রিক ফিল্ড নিয়ে চিন্তা করবে-- সেটা তো ইতিহাসের থেকে আমরা জানবো অথবা শিক্ষা নিতে পারি।
তাহলে গতিশীল একটি সভ্যতার কাছে মানুষ আসলে কি দাবী করতে পারে? উন্নয়নশীলতা নাকি কোন প্রকার ধারাবাহিকতা? নাকি আসলে সমাজের অপর্যাপ্ত চিন্তাভাবনার জন্য মানুষের মেরুদন্ডের উচ্চতা ধরে রাখার জন্য বিশেষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা; এসব কিছু আসলে দার্শনিকরা বুঝবেন ভালো।
সভ্যতা কথাটার কোনপ্রকার ভাবাদর্শের অগ্রগতি হয়েছে কিনা জানিনা তবে স্পস্ট কিছু কিছু বৈসাদৃশ্য আছে। প্রকাশমান। অতীত হতেই প্রলম্বিত এসব বৈসাদৃশ্যগুলি এখন পরিস্কার বোঝা যায়। সেটা হচ্ছে এরকম, ‘’লাগে টাকা দিবে গৌরী সেন’’ এ জাতীয় এক ধরনের একটি মানসিকতা পৃথিবীর চারদিকেই সুপ্ত রয়েছে। এসব মানষিকতা সুপ্ত অবস্থায় পৃথিবীর নানা দেশেই বর্তমান রয়েছে সহজে বোধগম্য না হলেও গোপনে ক্রিয়াশীল বোঝা যায়। এটুকুই জানলেই হয় যে:- চোখের সামনেই যখন জীবনটা নষ্ট হয়ে গেল কিন্তু কেউই দেখল না তা, এসব এধরনে প্রতিক্রিয়াশীলতায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এবং তবুও ধরাধরির এইসমস্ত মাপকাঠি বা বোঝার মত মস্তিস্ক ‘’কেউ কোথাও নেই’’ দিয়েই ঢাকা আছে। যেন শুধু ব্যক্তির মাধ্যমেই এইসব নাপাক পানিগুলোকে দূরে রাখার এটাও আর একটি সুন্দর ব্যবস্থা।যেটা তৈরী করা আছে।
যে কোন ধর্মের শুরুটাই এক প্রকারের বিপ্লববাত্মক প্রচার বা প্রসার কিংবা হয়তো বিদ্রোহ, বিদ্রুপ ইত্যাদি ইত্যাদি হতেই শুরু হয় ধর্মের মহাজাগরণ। যদি এর পরেও ধর্ম সম্পর্কে একথাটা বলা হয় যে, ‘এ হচ্ছে ঈশ্বরের বাক্য’ তবুও বক্তব্যের শক্তিসামর্থ এবং পর্যবেক্ষন ক্ষমতার বিচার করলে এটা সমাজ গঠনের জন্য উত্তম কোন ধারণা ছাড়া আর নতুন কিছুই মনে হবে না। কারণ হচ্ছে একবার প্রকাশিত হলে সেটাকে আবারও পরিবর্তিত হওয়ার জন্য তেমন কিছুই আর বাকি থাকে না। কেননা ঈশ্বরের বাক্য বলে কথা। শুধুমাত্র পুরাতন যেটুকু বোঝা যায় তাকে সর্বসম্মতিক্রমে অস্বীকার করার মত উপাদান গুলি অতঃপর এখন চারিদিকে মাথা ছাড়া দিয়ে ওঠে নতুন করে। এভাবেই একটি ধর্মকে প্রতিষ্ঠান রূপে পরিণত করাও প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার। তাহলে ব্যাপারটা কি দাড়াচ্ছে? কিন্তু তারপরেও ধর্মের ভিতরে যে গোঁড়ামিটুকু রয়ে যায় বা ভুলে থাকা যাচ্ছে না সেগুলিই যুগ যুগ ধরে মানুষের চিন্তার ভেতরে দিয়ে ক্রমাগতই প্রবাহিত হতে থাকে এবং মানুষের মধ্যে জাতিতে এবং জাতিতে, বিশ্বাসে ও অবিশ্বাসের ভিতরে ভেদাভেদ তৈরি করার জন্য যথেষ্ট শক্তির উপাদান সহকারে বিদ্যমান থাকে।
অপর পক্ষে যদি সরল মনে এমন প্রশ্ন করা হয় যে, ‘’ঈশ্বরের উদ্দেশ্য কি?’’ এই প্রশ্নটির কোনই উত্তর পাওয়া যাবে না!কোন সদুত্তর মেলা; সে তো দূরেই থাক! এটা তো দার্শনিকদের বিষয়। কারণ সকলেই জানেন যে ঈশ্বর কোনদিনই দেখা দিবেন না।এবং তারা এটা বোঝেন যে এই পথপরিক্রমার শেষটা কোথায়!! সাধারনের মধ্যে এসব প্রাচীন দার্শনীকদের দেখা মিলা দুস্কর।
আর যদি তবুও এভাবে বলা হয় যে স্রস্টা যিনি তিনি এমনটাই বলেছেন বা তিনি এরকম করেই তাঁর কথাগুলো বলবেন মানুষের উদ্দেশ্যে। তখন তো মানসিক ডাক্তারের মত রোগটা আসলে কি ছিলো খুঁজতে গিয়ে তাঁর ভগবান উদ্দেশ্যটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।যাঁকে উপাসনা করলাম এত এত উপঢৌকন দিয়ে তাঁর অবতারকে কিভাবে এখন দেখা হচ্ছে এই পৃথিবীতে সে প্রসঙ্গই সম্মুখে আসবে। কোন সদস্য থাকলে সেটা কিরকম হতে পারে তা নিয়ে আলোচনার গোলটেবিল বৈঠক শুরু হয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রহস্যময় বিষয়টি হলো এই যে ধর্ম আসলে বিবিধ উপায়ে ধর্মকেই আক্রমণ করে থাকে যেন এসব এক একটি খেল তামাশা। যেটা সৃজনশীল হয় বা সৃজনশীলতায় পর্যবসিত হতে যাচ্ছে সেটাকে আক্রমণ করে আসলে ঈশ্বরের লাভ কি হবে বোঝা খুবই মুশকিল। তাই দ্ব্যার্থ কণ্ঠে এটা এখন বলা চলে যে ধর্মের নামে কোন রাগ, ক্ষোভ, বিদ্বেষ, বিদ্রোহ ইত্যাদি দেখানো যায় না। যদি হয় তাহলে বুঝতেই হবে যে বর্তমানে যে ধর্মটি চলছে সেটি এখন পঁচে গেছে। রাগের কারণ হতে পারে কোন ব্যক্তিগত বা মানষিক সমস্যা কিংবা একদমই হয়তো কোন উদ্দেশ্যমূলক ভাবে একজন রাগান্বিত ব্যক্তিকে সেভাবে প্রস্তুত করা হয় যে পৃথিবীতে নিজেরই সিনিক্যাল কিছু ফর্মুলা অনুসরণ করে থাকে। হয়তো বা সামাজিক ভারসাম্য রক্ষায় কোনো না কোনো বিশেষ্য দ্বারা মানুষের অন্তরের রাগ এবং ক্ষোভগুলো বিশেষায়িত করা সম্ভব হবে। কেমন করে বা কিভাবে রগ সৃস্টি হল এসব কিছু কিংবা অবশেষে কোন কিছু হলে পরে শাহেদ আলীর ‘’জিব্রাইলের ডানা’’ বইটির মধ্যে এর উত্তর আছে। কিংবা হয়তোবা সালমান রুশদীর ‘’সেটানিক ভার্সেস’’ নিয়ে গবেষণা করা উচিত রাগ কেন উৎসরিত হবে!
ব্যাক্তিজীবনে প্রতারিত হওয়া হচ্ছে একটি খুবই লজ্জার বিষয়। প্রতারিত হলে পরে সেই লোকের সামাজিক মান সম্মান তো যায়ই এবং অধিকন্ত প্রতারক ব্যক্তিরও সম্ভাবনা থাকে যে সমাজেই লুকিয়ে পড়ার; যদিনা এমন ঘটনাই ঘটতে থাকে চারিদিকে। এটা সত্য যে নবী-রাসূলরা কেউই প্রতারিত হন নাই বলে ধারণা করা হয় এবং এটাই অনেকেরই ধর্ম বিশ্বাস। সুতরাং ধর্মের দাঁড়ায় প্রতারিত হলে তবুও যদি মানুষের লজ্জা তৈরী না হয় তাহলে জানা যাবে কোন না কোনদিক দিয়ে সেই মানুষের মনের ভিতরে কিছু না কিছু ভয় লুকিয়ে থাকে। অবশ্যই ভয়ও থাবে। সেটা খুঁজে বের করতে হবে যে মনের সেই ভয়টা কিসের! সমাজবিদেরা এসব সত্যতা খুঁজে বের করতে পারে।
একটি নতুন দিনের শুরু হয় যেভাবে! গতদিনের ফেলে আসা ছন্দের সাথে ছন্দ মিলিয়ে নিয়ে সব মানুষই প্রথাগত ভাবে নিজের অথবা নিজেদের নতুন দিনটি এভাব শুরু করে থাকে। কিন্তু সব সভ্যতায় এরকমটি ঘটতে থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে এটাও ঘটে; এমনটাও হতে দেখা যায় যে দিনের শুরুই হয় নানা ধরনের অবিশ্বাস, সন্দেহ এবং ভয় সংঘাত দিয়ে, শুরু হতে। বিশ্বাসের সাথে মানুষ আবেগ বা বিরাগ এবং অতীত হতে যেসব সংযুক্তি বহাল থাকে বা বজায়ে রাখতে হচ্ছে তারই ধারাবাহিকতায় অনুসরনে, কিছুটা রক্ষা কিছুটা বর্জন করার মধ্য দিয়েও মানুষের দিনটি শুরু হতে পারে। নতুন দিন বলতে মানুষের প্রত্যাশাকে বোঝানো হয় ধর্ম এখানে শুধু উপলক্ষের ভুমিকায়।
আমাদেরকে শয়নে এবং স্বপনে জাগরনে সেসব পুরাতন ধারাবাহিকতাকে ধারণ করতে হয় তার সাথে মিল রেখে নতুন করে কাব্যের রূপরেখা প্রনয়ন করা হলে বা চয়ন করা হলে নতুন কোন ছন্দ; তখনও তৈরী হয় ধর্মবাস্তবতার নব জাগরন। অথবা সাধারনতঃ; সাদামাটা ঐসব গতদিনের ছন্দের সাথে নতুন ছন্দ মিলিয়ে নিয়েই নতুন দিনের পথ চলা শুরু করতে হবে। প্রত্যুষে। "শুভ সকাল" বলতে থাকি আমরা। শিশুরা মেনে নেয় এভাবে! অথবা এমতাবস্তায় অনেকেই শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে নতুনের সঙ্গে দ্বান্দিক বাস্তবতায়। অথবা তারা নানা ধরনের প্রশিক্ষণের দিকে মনোযোগ দেয় যাতে করে সমাজটাকে তাদের আয়ত্বের ভেতরে রাখতে পারে। এগিয়ে নিতে পারে। ধাবিত হতে দেখা যায়।
সূর্যাস্তের সাথে সাথেই সন্ধ্য নামবে। প্রকৃতির নিয়মে। কিন্তু বিগত দিনটির রেশ থেকেই যাবে মনে। ছন্দবব্ধতা মানব জীবনের জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।এটা শুধুই হাঁটাচলা; ঘুরাফেরা, অথবা লেফটরাইট নয়!! মানব মস্তিস্কের যে স্মৃতিশক্তি আছে তার সবকিছুই একত্রে প্রকাশিত হতে পারে না এবং ইতিহাস হতে দেখে দেখে সবটুকুও জোরজবরদস্তি একবারে প্রকাশ করাও কারো উচিত হবে না। ঠিক তেমনি ভাবে যাপিত জীবনের নানান স্মৃতি কাতারতা থেকেও আমাদেরকে বেঁচে বর্তে থাকতে হয়। যেমনটা কেউ কখোনই করবে না, সকালে উঠেই মানুষ ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি করবে না। কারণ সেটা হবে উদ্দেশ্যমূলক। স্মৃতি খুবই জরুরী জিনিস তাই তার থেকে শুধু শিক্ষাই গ্রহণ করতে হবে। কেবলমাত্র কর্মচাঞ্চল্যের ছন্দ বজায় রেখে চললে এবং ছন্দবদ্ধভাবে বিগত দিনটিকে স্মরণে রাখতে হবে। তার চেয়ে বেশি কিছু নয়। যেমন করে ভোর বেলায় ঘুম হতে উঠে সব শিশুরা পাঠ লাভ করে থাকে, "সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি…"।
আমাদের জীবনচক্র ছন্দবদ্ধতায় বাঁধা থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে আমাদের সামগ্রিক স্মৃতির অনন্য ভূমিকা। স্মৃতিশক্তির একটি প্রভাব মানুষের জীবনে রয়েছে এবং এভাবে স্মৃতির অংশটুকু কে ভালো-মন্দ বোধের বিচার বিবেচনার আওতায় এনে পরে জীবনের চলার পথটিকে আরো সহজ ও সমৃদ্ধ করে তুলুক সেটাই সকলের কাম্য। দিনটি যন্ত্র দিয়ে শুরু হয় তথাপি ছন্দোবদ্ধতা বজায় থাকবেই এবং সংস্কার যেভাবে শেখাচ্ছে যে; রাতও নামলে পরে তখন "প্রথম রাতেই বিলাই মারার" নিয়মটি রক্ষা করা হবে--যেন তখন দ্বিতীয়বর রাত নামলে আবারও ‘’বিলাই মারা’’ তো দূরেই থাক কুত্তাও যেন মারতে না হবে। এমনটাই হচ্ছে অবস্থা।
কেবল বেরসিক দর্শনেই শুধু আপনাকে দিনের শুরুতে সবকিছুকে উল্টাপাল্টা করে দেখাবে। এতোকিছু করতে থাকলে স্মৃতিশক্তি চর্চ করা দূরেই থাক মানুষের মাথাই তো ঠিক থাকবে না তাইনা... । তার পরেও এমনটাই চলতে থাকলে পরে হয়তো সরাসরি একদিন দেখা যাবে যে দশাসই একটি চপোতাঘাত খেয়ে আপনি আবারও স্মৃতিময় বাস্তবে ফিরে আসবেন, যেটা এখনই কোন মানুষেরই কাম্য হয় না। কেন হয় না তা ও এমূহুর্তে জানছিনা।ভবিতব্যে সেটাই যদি হবে; তবে কেন তাকে হতে হবে একদম এরকম বেরসিকেরই মত।
মানুষ হয়তো গতানুগতিক জীবন যাপন করতে পছন্দ করে না ঠিক কিন্তু তবুও তাকে মেনে নিতেই হয় একটি গতানুগতিকতাকে।মানুষকেই ধারণ করতেই হয় জীবনের জানা অজানা; চড়াই উৎরাই সহ উভয় অংশক। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলো যে মানুষের এই ধরনের অবস্থানকে খাটো করার জন্য মানুষ নিজেরাই অনেক ধরনের আত্মস্লাঘা তৈরি করে রেখেছে; যাতে করে মানুষের বেঁচে থাকার প্রাকৃতিক নিয়মগুলিকে অনেকভাবে অবজ্ঞা করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই ধারাবাহিকতা সমাজের চালচিত্রের ভেতরে তেমনটা দেখা না গেলেও ব্যক্তি জীবনের চর্চার ভেতরে তার উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে। তাই এখন একটি দর্শন পরিস্কারভাবে উপলব্ধ হয় যে একজন ব্যক্তি সে বদ্ধ উন্মাদ হয়ে গেলেও তার বিধাতা বা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস থাকতে পারে। অপরপক্ষে আর আরেকজন ব্যাক্তি সুস্থ স্বাভাবিক ব্যক্তি হলেও মস্তিষ্কটি বিকৃত হয়ে যাওয়ার কারণে হয়তো দেখা গেল তার কোন সৃষ্টিকর্তা নাই কিংবা সে সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করে বসেছে। এই দুই ধরনের পরিস্থিতির মাঝখানে পড়লে পরে মানুষ কখনোই একটি গতানুগতিক জীবন যাপনকে উপলক্ষ্য করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে আর পারেনা। এবং তেমনভাবে দেখা যাচ্ছে যে এই গতানুগতিকতাকে মেনে নিবার সম্ভাবনাও সমাজের মধ্যে ইদানিং অত্যন্ত কমে গেছে এবং আরো কমেই যাচ্ছে দিনে দিনে।মানুষ ক্রমান্বয়ে আরো বেশী বেশী নিয়ম ভেঙ্গে চলেছে নিজেদের স্বার্থে। এ ধরনের একটি পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষরা কিভাবে আসলে কোন একটি মধ্যস্থতার ভূমিকা মেনে নিবে? কিংবা সাধারন মানুষ যদি মধ্যস্থতার ভূমিকা মেনেও নেয় তাহলে সে ধরনের ধর্মের প্রকৃতি কি? যখন জীবনধারনের গতানুগতিকতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতে পারবে মানুষ।এবং এভাবেই চললে পরে আখেরে এর পরিণতিও বা কি হবে। বা এভাবে কি তাহলে মানব ধর্মের পরিচয়ও বদলে যাবে? এমন ননন প্রশ্নও থাকে মনে। এমন ধর্ম নতুন হলে তখন সে ধর্মের পরিচয় কি ধরনর হতে পারে সেটাও জানার বিষয় রয়েছে।
একজন সৃষ্টিকর্তার উপস্থিতি প্রসঙ্গ; সে কথাটি না হয় আপাতত বাদই দিলাম। শুরুতেই যেটা বলেছিলাম যে সৃষ্টিকর্তার উপস্থিতিকে অগ্রাহ্য করার উপায় নাই। কিন্তু তাই বলে যে শুধুমাত্র কোন প্রকারের ধর্মান্ধতা এবং শুধুই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার কারণে এধরনের একজন সৃষ্টিকর্তাকে মেনে নেয়াও সঠিক হচ্ছে কিনা ভেবে দেখা দরকার। তা না হলে এসবের সত্যতার সাক্ষ্য দেওয়া আর কোনভাবেই সম্ভব হবে না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন