জীবনের গল্প গুলিকে হতে হয় বিশুদ্ধতম।

জীবনের গল্প গুলিকে হতে হয় বিশুদ্ধতম !!


জীবনের গল্প গুলিকে হতে হয় বিশুদ্ধতম। যদি ইচ্ছাকৃতভাবে গল্পগুলিকে নিজের দিকে টেনে আনা হয় ঘোর-প্যাঁচে ফেলে নিজেরই সুনাম গাওয়া হয় তাহলে সেই গল্পের মধ্যে নিজের অনুপস্থিতি থাকবে এটাই কাম্য। নিজের উপস্থিতিতেই নিজের গল্প শুনতে কারো কাছেই ভালো লাগবে না। হয়ত কিছু কিছু উদ্ভট রাজনীতিবিদের কাছে সেটা পছন্দনীয় হলেও সাধারণ জনগণের কাছে কিন্তু সেটা পছন্দনীয় নয় এর যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে সমাজে। 


কিন্তু গল্পের উপাদানের ভিতরে অনেকটুকুই অতীত থাকবে। এমনটাই দেখতে পাওয়া যায় সাধারণত। গল্পের সাথে কল্পনা শক্তির একটি ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে। তাই এই দুই অবস্থাটি বাস্তব ও কিছু কল্পনা যদি একই সমান্তরালে কার্যকরী না থাকে তাহলে গল্পের মজাটুকু পাওয়া যায় না। 


খুবই সামান্য একটি শ্রেণীর মধ্যে দেখা যায় যারা সমসাময়িক বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে পারে এবং তাদের গল্পের ভঙ্গিটা একটু ভিন্ন ধরনের হয়। এটাই ডেভেলপমেন্টাল গল্প। এদের গল্প হচ্ছে সমস্ত ডেভেলপমেন্টাল গল্প। আবার সমাজে এমন কিছু বিশেষ শ্রেণীর লোক থাকে যারা ভবিষ্যৎকে কল্পনা করতে পারেন। হয়তো ভবিষ্যৎ তাদের কল্পনার মত সেভাবে গড়ে ওঠে না। কিংবা তারা বাস্তবে সাধ্যমত চেষ্টা করলেও ভবিষ্যৎকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়তো পরে কোনভাবেই সম্ভবপর হয়ে উঠবে না। তখন তাদের ভাষার মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায় এবং বর্ণনার মধ্যে সেটাও প্রকাশ পায়। হয়তো এভাবে তারা দক্ষতার সাথে ভবিষ্যতের গল্পটা বলতে পারবেন না যেভাবে সন্ত্রাসীরা বলতে পারে। কারণ সন্ত্রাসীরা ভবিষ্যৎকে তৈরি করে এমনভাবে যেন মানুষের মুখ থেকে তারা কথা আদায় করে ছাড়বেই। কিন্তু উন্নয়নের ধারণার লোকগুলি সেভাবে সন্ত্রাসীদের মত দক্ষতায় জনগণের মুখ থেকে কথা আদায় করে নিতে পারেন না। তারা আসলে ভবিষ্যতকে একটি বিশেষ ইঙ্গিত তথা দ্রষ্টব্যের মতো উপস্থাপনা করে থাকেন। এবং এটা সচরাচর তাদের ভাষার দক্ষতার সাথে জড়িত বলে তাদের মন-মানসিকতাও এ ধরনের হয়ে থাকে। যেন তারা ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা না হলেও ভবিষ্যৎকে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ দ্রষ্টব্যের আকারে উপস্থাপনা করতে মানসিক এবং ভাষাগত উভয় দক্ষতাই রাখেন।


মন্তব্যসমূহ

A2