গোল গোল খেলনা নিয়ে খেলতে আমরা চাই। একটি শব্দ প্রকল্প দ্রুম। "It is something like...''
মনের অজান্তে একটি গভীর অনুপ্রবেশের সংঘটিত ঘটনাকে বেমালুম চেপে যাওয়া এবং কিছু না কিছু সংযুক্ত অজ্ঞাতকূলশীল ব্যাক্তিবর্গের এতে জড়িত থাকার ও দেখা না দেখার জানা-অজানা কাহিনী। এই কাহিনী যা এখন একটি উদ্ভট কাল্পনিক গাল গল্প দিয়ে তৈরী হয়েছে বিধায় নানা অজানা কাহিনীর সংমিশ্রনে এইরূপ রসায়নিক যৌগ তৈরী করেছে। আমাদের দেশীয় বৈদেশীয় সকলের নিত্যদিনের মননশীলতা এবং ভালোমন্দ জীবনঘনিষ্ঠ সকল বিষয়ক চর্চার মধ্য দিয়েও এইসব উদ্ভট দর্শন ও কাল্পনিক বোধের দ্রুত বিকাশ হয়েছে এবং নোরিশমেন্ট ঘটে চলেছে। এটি কোন দর্শন না হয়েও তবু এখন আরও সুস্পস্ট হয়ে গিয়েছে শুধুই অবধ্যতা এবং মান্যতার বিচারে এবং কি ছোট কি বড় সবক্ষেত্রে একই বাস্তব ভিত্তিমূলে এসে একপ্রকার সর্বজনীন চর্চায় পরিনত হয়ে গেছে।
এই ভয়ানক রসায়নের মূল উপজীব্য এখন ব্যাক্তি মানুষের জীবনের প্রয়োজনীয় চাহিদা এবং পারস্পরিক নির্ভরতার সকল কিছুকে এমনই জরুরী কার্যক্রমকে শুধু এভাবে উপেক্ষা করা, অবাঞ্চিত ঘোষনা। কারন বিভিন্ন পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে পরিস্কার বুঝতে পারা যাচ্ছে যে কোন ধরনের রোবটিক আচরন কিংবা রসায়ন সে যাই হোক না কেন এটা যেন একটি সম্পূর্ণ ভাষাভিত্তিক মাধ্যমে সক্রিয় থাকে। এবং যখন তখনই ব্যাক্তিপর্যায়ে নেমে আসলে পরে তখন বিকৃত ব্যাখ্যাটি এবং অন্যান্য উদ্যেশ্যমূলক সব কার্যক্রম ঠিকই তবু মানষিক অসুস্থতার এই মাধ্যমভিত্তিক অবস্থা হতে গল্পে বিকশিত হওয়ার পরিবর্তে শত্রুতামূলক বিশেষায়িত করে যাচ্ছে--এবং এসব একাধারে নিরবিঘ্নেই চলছে এবং এভাবেই অনেক মানুষকেও প্রভাবিত ও এমনকি উদ্বুদ্ধও করতে পারছে। নিস্কৃয় থাকা মানষিকতার অন্য ব্যাক্তিদের দ্বারা দাসত্বমূলক কাজও করাতে পারে হয়তো। এর প্রভাবটাও এতদূর বিস্তত।
সমাজের প্রত্যেক ব্যাক্তি মানষে এখন এই রসায়নের তীব্র উপস্থিতি বিদ্যমান। বিবাদমান উপস্থিত মানুষদের মধ্যে কোন কৌশল অবলম্বনে, কোন বিশেষ উপলক্ষকে পুঁজি করে নিয়ে পরে এই ধরনের একটি রসায়নিক অবস্থা মানুষের দৈনন্দিন দর্শন আলোচনায় স্থিত হল তা বোঝা বড়ই মুশকিল। কিভাবে ও কখন থেকে এই রসায়ন সমাজের মূল কার্যক্রমের অন্তরভূক্তি হয়েছে তার হদিস না পাওয়া গেলেও এটা কিন্তু স্পস্টতঃই আন্দাজ হওয়ার বিষয়।যে অতীতের সঙ্গে কিছু ধারবাহিকতা আছে যা ব্যাক্তির জন্য কিছুমাত্র অনুকূল ছিলো না। প্রকৃতির সঙ্গে দৃড়ভাবে আবদ্ধ থাকায় মানুষের মগজের গভীরে টিকে থকার লড়াইয়ে যেসব হাজার হাজার, লক্ষ্য লক্ষ ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া চলে প্রতিদিন তর থেকেই অনেক কিছুই বোঝা যায়। বুঝা যায় এটা ব্যাক্তিগত শত্রুতার অংশবিশেষ। এতে আরও বুঝা যায় যে এখানে সংগোপনে ক্রিয়াশীল আছে অন্য কিছু সক্রিয় শক্তি। যখন থেকে এই রসায়ন প্রকাশ্য ভূমিকায় এল তখন তার সাথে আরও আছে সময়কে নিয়ন্ত্রনের জন্য কোন মেশিন জাতীয় কিছু। অথবা অমানবিক বিভৎস দর্শন, যে দর্শনের মূলে অসহিঞ্চুতা যার ফলে স্বতস্ফূর্ত ভাবে এধরনের অন্য কিছু পাশবিক ভূমিকা ও উপস্থিতি জাগ্রত হয়ে গেছে যেসব জনমনে এখনও সমানে ক্রিয়াশীল রয়েছে।
এবং একারনে নিশ্চয়তার সাথে একথা বলা যাবে যে মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে বিভিন্ন মাননানসই বা সঙ্গতিপূর্ন এবং বেমানান হয় এমন যা কিছু আছে তার সকল বিষয়গুলির রাসায়নিক ফুটপ্রিন্ট কম্পিউটারের ভিতরে ঢুকানোর মধ্যদিয়ে পরে এইরকম একটি সামাজিক পরিস্থিতি পরবর্তীতে ব্যাক্তির প্রাইভেসীর বিপরীতে জারীকৃত করা হয়েছে।এবং ব্যাপক ভারসাম্যহীনতা যেটা শুরু থেকেই চাহিদানুযায়ী সার্ভ করা হয়। পরে সার্ভে শুরু করা হয় সার্ভারের মাধ্যমে। প্রথমেইযা কিছু হাজির হয় সেগুলো হল এই মাধ্যমটিকে সরব করা পর অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে তার বনামে অথবা বিপক্ষের যেসব ব্যাক্তিত্ত্বে গরহজির অবস্থায় তাদের এই যে দূরূহ চরিত্রে ইতিমধ্যেই চিত্রিত হল কিংবা যেভাবে সার্ভারে পরিস্ফুটিত হল সেভাবে এইরকম একটি প্রতিযোগীতামূলক সমাজের নানান ভারসাম্যগুলিকে এখানেই সার্ভে করে ইচ্ছাকৃত ভাবে ফোকাস করা হচ্ছিলো প্রত্যেক দিন ধরে। তাই বলা চলে যে এটা সত্যই যদি একটি রোবটিক বাস্তবতা হয়ও তবুও এদের উদ্যেশ্যের ব্যাপারে কোনভাবেই নিশ্চিত হওয়া সম্ভবপর হবে না।
এখন হয়তো অনেকেই বলতে চাইবেন এটি আসলে একটি মানষিক রোগ অথবা সামগ্রিক বিচারে বলা যায় দেশের বা দশের অর্থনৈতীক ভারসাম্যহীনতা। এবং সামাজিক অংশগ্রহন বাড়নোর মধ্য দিয়েই এর থেকে উত্তরন সম্ভব। হয়তো কথা ঠিকই। কারন এটা বাস্তবিকই ঘটে চলেছ যেমনকরে যখন বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষর সামাজিক বাস্তবতায় যে ভিন্নতা আলাদা চরিত্র রয়েছে সেটা জীবন ও জীবিকার পক্ষে বেশ সহযোগী হয়। সহকারির ভূমিকায় অবতীর্ন অথবা মানবাধিকারে অনুসরনে হয়তোবা বহুলাংশে নিরপেক্ষ থাকবে। এসব ভিন্ন বাস্তবতা থাকা সত্বেও পৃথিবীতে কিছু সমাজ আছে যেগুলো ভাল কাজে অনুঘটক হিসাবেও কাজ করে থাকে এটাও তো সঠিক। কিন্তু উদাহরন হিসবেও সেসব অনুপস্থিত। কালো অধ্যায়ের সূচনা হয় এ পরিস্থিতি মোকাবেলায়।অভিজ্ঞতা হিসাবে যা প্রকৃত অর্থেই খুবই ভয়ানক পরীক্ষা।
তাই গুনীজনেরা এমতাবস্থায় তো উপদেশ দিতেই পারেন যে ইগো ঝেড়ে ফেলে দিয়ে শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত সামাজিক সংযোগ তৈরী করার ভিতর দিয়েই এই বিশালায়তন পৃথিবী,এবং মানবসম্পদে ভরপুর পৃথিবীর সকল উদ্ভট চিন্তার ক্ষেত্রগুলিকে পায়ে ঠেলে এবং মাড়িয়ে দিয়ে বিপরীত প্রকৃয়ার একটি সুস্থ মননের সংস্কৃতিক যাত্রা আরম্ভ করা খুবই সম্ভব।সম্ভবপরতার নীরিখেও এটা বেশ বাস্তবসম্মত বটে। বাট টু লেট। মানুষ তো বাঁচবেই না শুধু দেখার বাকি কিছুই নয় কেবল মানষিকতার পরিবর্তন কি উপায়ে ঘটতে শুরু করে। পরিবর্তনের বিচারে সক্রিয় শ্রেনীগুলো নতুন উদ্যমে কেন জানিনা খুবই প্রশ্রয় লাভ করা শুরু করে। সম্ভবতঃ একটি রোবটিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার ফলে মনুষ্যত্বে দন্তবিকশিত একটি রূপ প্রকাশিত হয় বা একে সমলাতেই এমনটা হয়ে থাকবে।
যেকোন সফলতা বা ব্যার্থতার কথা উঠলে পরে তখন প্রথমেই যেটা মনে হবে সেটা হল এই যে কিছু ঘটা কিংবা না ঘটা এতে মানুষের হাত নাই, শুধু সৃস্টিকর্তার ইচ্ছা বলেই না কথা। এবং এটাই হচ্ছে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর দখলবাজ প্রকৃতির মুখে প্রথম চপোটাঘাত। বর্তমান পৃথিবীটা মানুষ বসবাসের উপযোগী কিনা এটা খুব ডিবেটেবল হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। তার প্রধানতম কারন হল আগের তুলনায় বর্তমান পৃথিবীতে জীবনযাত্রার ব্যায়ভার নির্বাহ দিনকে দিন যেন আরো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। একদিকে যেমন গ্রীনহাউস গ্যসের প্রভাবে গড় তাপমাত্রা বাড়ছে অন্যদিকে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হচ্ছে এই জীবন যাত্রার ব্যায় মারাত্মক ভাবে বেড়ে যাওয়া। আমরা হয়ে যাচ্ছি খেঁকশিয়ালের মত। মুরগী বাগা দেয়ার বিশ্বাসটি ধারন করার অবস্থায় নাই। চারিদিকেই যুদ্ধের অশনী সংকেত দেখে তো এটাই মনে হচ্ছে। পৃথিবীটা যেন যতই দিন গড়চ্ছে ততই মায়ামমতা হীন রোবটে পরিনত হয়ে যাচ্ছে। এসবকিছুই হয়তো কোন নীলনকশার অংশ। কেননা রোবটেরও আবার অনুভূতি। এটা খুব হাস্যকর। এই পৃথিবীর স্বার্থপর মানুষেরা ভবিষৎতে মানুষের বিকল্প রোবটই ব্যবহার করবে এ সত্যটা খুব স্পস্ট। তাই শেষমেষ মানুষের সাথে প্রতারনার সর্বশক্তি নিয়ে এই ধরনের ব্যাবহার। আর ভবিষৎতের রোবটের মধ্যে যদিবা কোনওদিন মানবিক ভালবাসা জাগ্রত হয় তবে সেটাই উত্তম এইসব মানুষদের প্রবল প্রত্যাশা। তাদের স্বার্থবাদি মানষিকতা এইসব রোবোকেমিক্যাল জীবনের মধ্য দিয়ে তারা রোবটিক বিশ্বে তাদের বিশেষ প্রকৃতির ভালবাসা খুঁজে পাবে বলে মনে করে এবং এর মধ্যে তারা দেখতে পাবে তাদের প্রতি তথাকথিত ঈশ্বরের পক্ষপাতিত্ব, বিশ্বাস ও ভালোবাসা।
সময়টাই যেন পাল্টাচ্ছে। দ্রুত না হলেও ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে। Running fast অথবা অন্যভাষায় Endpoint Decision making এর জন্য প্রস্তুত থাকে রাস্ট্রিয় বিরাস্ট্রিয় অনেক প্রতিষ্ঠান।
এই পৃথিবী এত বেশি মাত্রায় হযবরল হয়েছে যে কোন কাজই ১০০% বিশুদ্ধ কাজ নয়। অনেক অসমর্থতা নিয়ে মানুষ কাজ করে। কাজের মধ্যেও অনেক বেশি পরিমানে আকাজ বা ইমপিউরিটিজ থাকতে পারে। আবার সকলের সব কজই পুরোপুর স্বাধীন কাজ না। ৫০% উপরে অন্যের উপর দিয়ে চাপানো কোন কাজ হল বিভৎস অপরাধ। আর ৫০% এর কম যে সব কাজ অন্যের নির্ভরশীলতার বাইরে থাকে সেসব কাজকর্ম ভুয়া নয়। রিয়েল কাজ। পৃথিবীর বুকে মাটিতে জন্মেছে বলেই না মানুষ নিজেকে পশু না ভেবে একজন মানুষ ভাবতে পারে। অথচ এসব বুদ্ধিশুদ্ধিহীন শ্রেনী এখানে মানুষের কোলে জন্মেও কাজকর্মে পাশবিক হল কেন এটা একটা বিশাল প্রশ্ন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন