ভাঙ্গাচোরা বর্তমান থেকে কি ধরনের ভবিষৎ আশা করা যায়। কেন মানুষের কাছে ভবিষৎবানী দরকারী বোধ হয়। অতীত (Past) কেন তার ত্রি-মাত্রিক চিহ্নটি হারিয়ে ফেলে বা ভুলে যায়।
ভবিষৎবাণী কি একটি আর্ট? আমাদেরকে পথ চলতে হলে বন জঙ্গল পরিস্কার করতে হবে না।শুধু রাস্তা ধরে পথ চললেই হল, গন্তব্যে পৌঁছাতে সমস্যা হবে না। কিন্তু এই পথটি কিন্তু তবুও কোন না কোন শর্তে আগামীর। বর্তমানকে যতভাবেই এবং যতই নিশ্চয়তর ব্যাবহার করিনা কেন প্রেক্ষিত কিন্তু সেই ভবিষৎই থাকছে। তাই আগ্রহের ক্ষেত্রগুলি কিছুটা হলেও অস্বস্তির কারন।
জীবনের প্রতি আগ্রহ অনাগ্রহের ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়ে কিভাবে মানুষ কাজ করে ও চিন্তা করতে প্রস্তুত। সব মানুষই ব্যাক্তি জীবন ঘিরে সমাজ সংসার থেকে শুরু করে ভোগবিলাস পর্যন্ত পরিকল্পনা করবে না। যদিও আমরা সমাজ জীবনে এই বহুমাত্রিক জীবনকে দেখতে শুনতে বুঝতে এবং উপলব্ধি করতে সক্ষম। এবং কেবল মাত্র সক্ষমতাই পশ্চাতের আমিকে সম্মুখের দিকে ঠেলে দেয়। ভবিষৎ জানতে চাওয়া এরকমই একধরনের সক্ষমতার ব্যাপার। এটা আমাদের ব্যাক্তি জীবন হতে সমাজ জীবনেও প্রভাবিত এবং বিস্তত হতে পারে।
সামগ্রিক ভাবে কর্মের সাথে চিন্তাশীল মনের কি ধরনের দার্শনীক সংযোগ থাকে এটা পরিস্কার নয়।তবে ঐতিহাসিক পর্যালোচনায় এর ব্যাপ্তি বিশাল। তাই বলা চলে এটা ভৌগলিক অবস্থানের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে সম্পর্কিত। মানুষের মন যে কোন না কোন প্রেক্ষিতকে ধারন করে নিয়েই অপরাপর কর্ম এবং ব্যাক্তিগত চিন্তার মধ্যে সামঞ্জস্য খুঁজে পায় কিংবা কোন বৈসাদৃশ্য দেখলে হয়তো প্রতিক্রিয়া স্বরুপ সেগুলির প্রতি বিদ্রুপাত্বক মনোভাব দেখায় অথবা একটি নিস্পৃহ অবস্থানে থেকে বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবনায় স্থান দিতে অনীহা দেখায়।তখন সামাজিক স্থিতিশীলতার অবস্থা হতে এসব প্রেক্ষিতকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হয় বিধায় এমতাবস্থায় ভবিষৎ দর্শন হয় সম্পূর্ন গঠনমূলক। অলৌকিকতার চেয়েও লৌকিকতার দিকেই ভবিষৎ প্রনয়ন হয়।
মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং সামাজিক সহমর্মিতা বোধ এটা কি মানুষের মধ্যে বাড়তেই থাকবে নাকি সভ্যতার শিখরে এসে স্থিতিশীল হবে এবং অনন্য সত্যতায় উদ্ভাসিত হবে? মানুষের বিবর্তনের সঙ্গে কি মানবিক নানান সহমর্মিতার সরসরি কোনপ্রকার লেনদেন ঘটিত সম্পর্ক থাকতে পারে। থাকলে পরে জীবন ও জৈবীকতার দর্শনে এই সহযোগীতায় জাতীর ভবিষৎ দর্শনকে কিভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে ঐতিহাসিকের দৃস্টিতে।কারন ইতিহাস অনস্বিকার্য রুপে ভবিষৎ রোডম্যাপকে প্রভাবিত করবে। জাতীর ভবিষৎ দর্শনটি এভবে প্রস্তাবিত এবং গঠনমূলক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আধ্যাত্বিকতাকেও লালন করবে।
কিভাবে ভবিষৎবাণী করা যায়। যেহেতু অবসর জীবনকে কর্মময়তার সঙ্গে সম্পূর্নরূপে মিশিয়ে নিয়ে ভাবনার পরিশুদ্ধতা পাওয়া যায় তাই একটি ভারসাম্য হচ্ছে এমন প্রকার জীবন যেখানে পরিমিত বোধ থাকবে এবং বাহুল্য অবশ্যই বর্জনীয় বলে বিবেচনায় স্থান দিতে হবে। এই ধরনের ভবিষৎ আসলে পরিকল্পিত এবং কর্মময়তার সমর্থনে প্রকৌশলীদের উৎকর্ষতা। কিন্তু এটা জীবনে পরিমিত বোধকে সমর্থন করছে না। বরং নানাধরনের বৈষম্যের প্রতিরূপ। অতীত হতেই নস্ট্রাডমাস এবং বাবা ভাঙ্গার মত ভবিষৎ বক্তাদের জন্ম হয়ে যারা দাবী করতেন যে অলৌকিক উপয়ে ভবিষৎ জানতে পারেন তাঁরা। তাঁদের দর্শনের অনেক কিছুই আজ সত্য হয়েছে বলে প্রমানিত।
"From foreseeing the tragic death of Princess Diana to predicting the 9/11 attacks and the Chornobyl disaster, Baba Vanga’s visions have been nothing short of chilling. Her prophecies stretch far into the future, to the year 5079. But for 2025, her predictions are particularly alarming—and they’re already beginning to resonate.''
বর্তমানের এইরকম বর্তুল আকৃতির Reputational অস্থিরতা কিভাবে যেন বেশিরভাগ মানুষের মনকেই প্রভাবিত করতে পারে জানি না। ভবিষৎবানীর যে আসল উদ্দেশ্য তা হল শান্তির আশা কিংবা হয়তো কোন প্রত্যাশা।এটাই যদি সঠিক ভাবনা হয় বা এমনটাই সমাজের ভাবনা হয়ে থাকলে পরে তখন সেই প্রশান্তি কেন বাস্তবে সবার জন্যই সহজলভ্য হচ্ছে না। অর্থাৎ ভবিষৎবাণীর কাছে আমরা আসলে কোনপ্রকারের নিশ্চয়তা পাচ্ছি না। বর্তমানে যেসমস্ত নিশ্চয়তাগুলো আমরা বিবেচনায় রেখে উত্তম ভবিষৎতের প্রত্যাশায় ভাবনা করছি সেসব নিশ্চয়তাগুলি কোথা থেকে আসছে। কি কারনে বর্তমানের প্রেক্ষিতে নানা অবসরে বসে বসে এভাবে কোন একটি ''নিশ্চিৎভাবে ভবিষৎদ্রস্টা'' কে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি বা দিতে বাধ্য হবে। এটা তো কোনমতেই ভবিষৎদর্শন না। এটা একধরনের ক্যালকুলেশান। এটা বহুক্ষেত্রেই বলা চলে জীবিকার স্বাভাবিকতা হতে বিচ্যুতি।
কোন মানব সমাজই ত্রুটিহীন নয়। ভৌগলিক অবস্থান বিচারে অসমতা ছিল বলেই হয়তো সেটাকেই আঁকড়ে ধরে বিচার বিশ্লেষনের মাত্রাও ছাড়িয়েছে বিগত দশক গুলোতে।অন্যদিকে গতি পেয়েছে সাম্যবাদের নামে সহিংসতা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন