লারনার্স লাইসেন্স অথবা শিখন্ডীর কাক। একটি অবসাদগ্রস্ত সমাজের নানমুখী কর্ম প্রেরনা।

সমাজে মুখোশ পরিহিত মানুষেরা আমাদের চারিদিকেই বিচরন করে। কিন্তু মুখোশের অন্তরালে তাদের আসল রূপটি ধরা পড়েনা। প্রত্যেক সমাজেই এধরনের মুখোশধারী লোক যেমন আছে তেমনই থাকে মুখোশের অন্তরালে থাকা মানুষেরা। সবার বাহ্যিক রূপটাই আসল রূপ না। অবসাদগ্রস্ত সমাজে মুখোশ পরিহিতদের দৌরাত্ব্য বাড়ে। কারন সমাজ কোন না কারনে অবসাদগ্রস্ত হয়ে গেছে। হয়তো মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকার নূন্যতম চাহিদারগুলির অপ্রতুলতা রয়েছে অথবা নিম্নতম মানটি বজায় রাখার মত অবস্থা নাই। মানুষ যখন তার মানবিক মর্যাদার অবনতি দেখতে পায় তখন স্বাভাবিক ভাবেই তার প্রতিরক্ষা বোধটি জাগ্রত হয়। যাতে তার রূপটি কিছুটা হলেও ঢাকা পড়ে। এটা সাধারন মনবিক চাহিদা পূরনে ব্যার্থ হলেই তখন ঘটতে দেখা যাবে। যে কোন শান্তিপ্রিয় মানুষকে দ্বৈত চরিত্রের ভাবলে হবে না। এধরনের মুখোশ পরিহিত লোকদের একটি বিশেষ সমাজে দেখা যায়।যেখানে মানবিক সমস্যাগুলি এড়িয়ে চলার প্রবনতা বিরাজ করে। হয়তো শিক্ষার মানের সঙ্গে এই পরিস্থিতির সরাসরি কোন সম্পর্ক থেকে থাকবে। যে কারনে পরহিতের চিন্তা না করে মানুষকে ক্ষুদ্র ব্যাক্তি স্বার্থে বেশী তৎপর থাকতে দেখা যায়। মুখোশের আড়ালে তার কথাবর্তাগুলি ভালো শোনালেও বৈষম্যের চিত্রগুলিও পরিস্কার দেখা যাবে।

আমরা পরিবেশের বাইরে খুব বেশীদূর যেতে পারিনা অগ্রসর হই না। বিধায় পরিবেশকে নিয়ন্ত্রন করার একটি সুপ্ত বাসনা অনগ্রসর শ্রেনীর মধ্যেও যেমন অনেকের মধ্যেই থাকে। তবে মুখোশধারীদের মধ্যে পরিবেশকে নিয়ন্ত্রন করার প্রবনতা যেটা আছে অনেকটা তাদের জ্ঞান এবং বুদ্ধি খাটিয়েই করা হয়।তখন এদের সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহনের প্রকৃত উদ্যেশ্যটি পরিস্কার হয় না কিংবা বোঝা মুশকিল।ষড়যন্ত্র করার প্রবনতাও এদের মজ্জগত তাই তাদের মন মগজের মধ্যে অন্যদের পক্ষে ঢোকা খুবই অসম্ভব ব্যাপার। এটা তারাও জানে। তাই তাদের সকলের মধ্যেই সাধারনের বোধগম্যতার বাইরের একটি চারিত্রিক ক্লাসিফিকেশান আছে। এটা শক্তি প্রয়োগে ছিন্ন করা সম্ভব নয়।ক্লাসিফাইড এন্ড ক্লাসিফাইড এটাই হচ্ছে ওদের কম্যুনিকেশান ধারনার সারমর্ম। কিন্তু জীবন এবং জীবিকার জন্য সবাইকেই কিছু না কিছু নিয়েই প্রস্তুত হতে হয়। ব্যতিক্রম হচ্ছে শুধু একটি মুখোশ।

মানুষের জীবনে কথা থাকে না বলা গোপনীয়তাও আছে। তাই বলে কোন কিছুকে অতঃপর বেদবাক্য হয়ে যেতে হবে এমনটা হতে পারে না। গোপনীয়তার প্রয়োজনীয়তা ততক্ষন উপলব্ধ হয় যখন নির্বিরোধী মানুষ নিজস্ব টিকে থাকার প্রয়োজনকে প্রধান ভেবে অগ্রসর হয়।কিন্তু সমাজের মুখোশধারীরা অপরপক্ষে সমাজকে ব্যাবহার করতে সচেস্ট। এদের মধ্যে নীতিবোধের ঘাটতি রয়েছে। তাই তাদের মুখোশ প্রকৃতপক্ষে টিকে থাকার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।সম্ভবতঃ এরা কোন না কোন কাল্ট চর্চা করে। অথবা এদের সামাজিক কর্মকান্ডের মূলেই স্বচ্ছতার যে অভাব রয়েই গেছে যেটা আবার সবার কাছেই কিছুটা রহস্যময় বা ধোঁয়াটে আচরন বলে বিভ্রম হতে পারে। হয়তোবা এমনও কখনো কখোন হতে পারে যে অন্যদের উপর কোনপ্রকারের নির্ভরশীলতা একেবারেই না থাকায় এরা নিজেরাও তাদের এই মুখোশের ব্যাপারে খুব একটা সচেতন নয়। তবু কিন্তু শেষমেশ এটাকে মুখোশ বলেই গন্য করা হবে। মানুষের যে প্রধান চাহিদা অর্থাৎ টিকে থাকার ইচ্ছা যতক্ষন না তার সঙ্গে একটি পূর্ন সামঞ্জস্যের ধারনানা পাওয়া যাবে ততক্ষন পর্যন্ত এটা সভ্যতার মুখোশই বলতে হবে। শিক্ষা এবং জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা সবকিছুর আড়ালেও এই মুখোশধারীদের উদ্যেশ্য কিন্তু তারপরেও ঢাকাই থাকে।

দূর্নীতির কথা বলতেই থাকা কি দূর্নিতীরই অপলাপ নয়, অন্য কথায় বলতে গেলে একটি রূপান্তরিত ধারার আলোকপাত না হয়ে এসব কি তবে কেবলই মুন্ডপাত করা হয়ে গেল না? কিংবা শুধুই একটি বিচারহীনতার সংস্কৃতির চরম পরাকাষ্ঠা কি নয়, এ প্রসঙ্গে এখনই বিতর্ক হওয়া দরকার।কেননা Sudu দূর্নিতীর আলাপ আলোচনা সর্বাংশে সত্য নয়। এইসব শিশুতোষ তাই ভয়ংকর সব আশঙ্কার জন্ম দিতে পারে মনে অথবা সমাজের স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর হয়ে যেতে পারে। জ্যাকেট। Some Haunted House ইতিহাস।

মন্তব্যসমূহ

A2