গোলাবাড়িয়া নাকি কেবল এনথ্রোপলোজিস্ট ধারনার মানুষ এরা । জনগনের সামাজিক আচরনের চালচিত্র

গোলাবাড়িয়া নাকি কেবল এনথ্রোপলোজিস্ট এরা । জনগনের সামাজিক আচরনের চালচিত্র


তলাবিহীন ঝুড়ির মতই যেন এখানে  সবকিছুই রাখা যাবে। এরকম একটি সমাজ পেয়েছি আমরা । গোলাভরা ধান এবং গোয়ালভরা গরু। মানুষের ভাষার বিন্যাসের মধ্যেই সুপ্ত রয়েছে একটি শর্ত, ‘’নাম দিয়া কাম কি’’। তাই মানুষেরা এই সমাজে দ্বিধাবিভক্ত। কেউ নামের প্রশংসায় গেলেও অনেকেই কাজকর্মের হিসাব নিকাশে ব্যাস্ত থাকতেই পছন্দ করে। ফলে সমজটাও হয়ে গেছে অর্থনৈতিক টানাপড়েনের এক একটি বাঙময় চিত্র।নিত্যনতুন বৈচিত্রের ধারনা পেতে মানুষ ব্যার্থ হচ্ছে বিধায় ‘’নাম দিয়া কাম কি’’ এই ফিলোসফী প্রধান্য পেতে দেখা যাচ্ছে সমাজের সর্বত্র।


সমাজে ডিপেন্ডেন্সি বা নির্ভরশীলতার মাত্রা বেড়ে গেলে তখন পরিবারতন্ত্রের এবং পুরাতন ধ্যান ধারনারও সবিশেষ ক্ষতি হতে পারে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট সমাজে মানুষ স্বভাবতই কর্মসংস্থান করে নিতে মনোনিবেশ করে থাকে। যান্ত্রিক হয়ে পড়ে কিছুটা। নির্ভরশীলতা প্রথমেই পরিবারের সামর্থকে কাজে লাগালেও এতে করে পরবর্তীতে সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকান্ডের ঝুঁকিও বেড়ে যাবে।ড্রাগ এডিক্ট ইত্যাদি। তাই সমাজে ব্যাক্তি নির্ভরতা বাড়তে থাকলে মানুষের মধ্যেও বুদ্ধিবৃত্তিরও ঘাটতি দেখা দিতে পারে। অর্থনৈতীক কর্মচাঞ্চল্যের জন্য এটা হুমকি স্বরূপ দেখা দিতে পারে।যেসব দেশে অর্থনৈতীক প্রানচাঞ্চল্য শূন্যের কোঠার কাছাকাছি <0.01 সেসব দেশের মানুষের আচরনের মধ্যে নানান ঝুঁকিপূর্ন কর্মকান্ডের প্রাধান্য দেখা দিতে পারে। কোন সাময়িক ব্যাবস্থায় এটা ধামাচাপা দিতে দেখা গেলেও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা না নিলে পরে জনগনের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দিবে।


দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার প্রধানতম শর্তই হচ্ছে অর্থনৈতীক প্রবৃদ্ধি শূন্যের কোঠার উপরে রাখা এবং গনতান্ত্রিক প্রকৃয়া ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। মানুষের শুভবুদ্ধিকে চ্যালেঞ্জ করার নানান উপাদান সমাজের মধ্যে পূর্ব থেকেই বহাল থাকে।শান্তি শৃঙ্গ্খলায় চ্যালেঞ্জ তৈরী করা।কিন্তু কেবল সাময়িকভাবে সুপ্ত থাকলেও তবু অশুভ শক্তির কর্মতৎপরতা প্রতিনিয়তই এভাবে সমাজের শুভবুদ্ধিকে চ্যালেঞ্জ করে চলতে দেখা যাবে।তাদের অংশগ্রহন অপ্রতিরোধ্য এটা বুঝতে হবে। তাই সমাজটা যেন হাতে হাত রাখা পরস্পরিক সহযোগিতার অনন্য নিদর্শন। এই বিচিত্র ধানের গোলায় যে শুধু ধানই রাখা যায় তা না চিত্রবিচিত্র নানান ধরনের মানুষেরও ঠাঁই হয়ে যাবে। এখান থেকেই ছুঁড়ে দেয়া যায় বিচিত্র জীবন যাপনের নানান উপাদেয় গালগল্প অথবা কাহীনি।


উন্নয়ন ধারনা কেবল ধারনাই নয় এটা কর্মতৎপরতার প্রাথমীক স্তর।এটাই হচ্ছে অনিশ্চয়তার থেকে যাত্রা শুরুর প্রথম হলেও তবুও কিছু সুনিশ্চিত পদক্ষেপ। কারন প্রত্যশা থাকে বিধায় মনুষের মধ্যে যেসব জ্ঞানভিত্তিক নির্ভরশীলতা তৈরী হতে দেখা যায় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রতনিধি বা নেতাদের উপর তৈরী হওয়া নির্ভরশীলতা।পরেরটা হচ্ছে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নির্ভরতা। দ্বিতীয় অবস্থানটি সামাজিক ও বহুলাংশে শক্তির পরিচায়ক। এই যে এই নির্রভশীলতার কথা বলা হচ্ছে এটা একান্তই নিস্তরঙ্গ হবে না বা একেবারেই নির্বিরোধী প্রকৃতির নয়।মানুষের সাধারন নির্ভরশীল দৈনন্দনতার আড়ালে নানান উথ্বান ও বিরোধীতাও বীজ সুপ্ত কিংবা প্রায়শঃই প্রকাশিত হতে দেখা যায়। কিন্তু একটি গোষ্ঠির উন্নয়ন ধারনার কাছে অনেক ক্ষেত্রই রাস্ট্রিয় উন্নয়ন ধারনায় কোন না কোন বৈষম্য বা গরমিলের চিত্র আছে বা বিরাস্ট্রিয় করনের সঙ্গে কিছু মতবিরোধ থেকেই যায়। গোষ্ঠির উন্নয়ন ধারনা চিত্রটি এভাবে কিন্তু শুরুতেই স্পস্ট হবে না। ধীরে ধীরেই এই উন্নয়নের ব্যাপ্তি আরো পরিস্কার হতে আরম্ভ করে।


যেকোন সাম্প্রতিক উন্নয়ন ধারনাই একেবারে নির্বিরোধী হয় না।অথবা শতভাগই বিপলবাত্মক হতে দেখা যায় না।কারন তখনতো অনেকগুলি ''প্রাক-উন্নয়নের'' সঙ্গে এটাকে এক বা একাধিক মাত্রায় সাংঘর্ষিক ভূমিকা নিতে বা জড়িয়ে পড়তেও দেখা যায়।আবার অনেক দেশেই উন্নয়ন ধারনা জনগনের মধ্যে স্পস্ট থাকে না। যেমন ক্রিমিনালদের মানষিকতা পর্যবেক্ষন করলে এর সত্যতা মেলে। একারনে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সত্যিকারের উন্নত জীবন থেকে সরে গিয়ে সস্তা কার্যক্রমের দিকে ঝুঁকে পড়তে প্রস্তুত থাকবে এইসব উদ্ভ্রান্ত মানব গোষ্ঠিকে। এই সুযোগে স্বার্থান্বেষী মহলও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যায় নির্বিঘ্নে এবং জনগনের উন্নয়ন ধারনাকেও প্রকাশ্যে পুঁজি করে নিয়ে।


ওইসব দেশেও উন্নয়ন বন্ধাত্ব্য থাকলেও সেটা ততটা প্রকাশ্য নয়। তাই ধারনা করা যায় যে সেখানে এই যে এই ''দেখতে চাওয়া'', ''দেখতে লাগা'' আর ''দেখতে থাকা''র ডিপেন্ডেন্সী গুলি তৈরী না ও হতে পারে। একধরনের শুন্যতা, সেটাও থাকতে পারে আবার না ও থাকতে পারে। যেন শ্রোডিংগারের কালো বিড়াল। আর নির্ভরশীলতা হলেও সেটা হবে আংশিক বা Partial নির্ভরশীলতা। শতভাগ নয়।


"লোকে বলে বলে রে ঘরবাড়ি বালা না আমার''। "বালা করি গর বানাইয়া রইমু কতকাল''। "কি গর বানাইমু আমি শূন্যেরও মাজার''।


মন্তব্যসমূহ

A2