সমগ্র মানব জাতীর জন্য পথপ্রদর্শকের দরকার হলে তবে দর্শনের কি হবে। সবশেষে দর্শন বলে কিছুই কি আর অবশিস্ট থাকবে

মানুষ শয়তানকে না চিনলেও সবাই বুঝতে পারে যে এটা খুব উত্তেজক এক প্রসঙ্গ। চোখে তাকে দেখা না গেলেও প্রত্যেক মানুষই কিন্তু শয়তানকে চেনে কোন এক অজ্ঞাত কারনে। একজন মারাত্মক অপরাধীকে ধরিয়ে দেবার সময় শয়তানীর কথা মাথায় থাকে না মানুষের কারন শয়তান তখন যেন একদম সামনেই হাজির। 

নবীগন সবাই শয়তান সম্বন্ধে বলেছেন। তাদের সঙ্গে তখন বহু মানুষ একমত হয়েছিল। সে যুগটা অতীত। শয়তানীর দুঃশ্চিন্তা কিন্তু মানব জাতীকে নিশ্চিন্ত হতে দিচ্ছে না। এখন তো প্রত্যেক মানুষই শয়তানের পাল্লায় থাকে অর্থাৎ থাকতেই হয়। নবীদের যুগের শয়তান কি তবে এখন সমগ্র মানব জাতীর জন্য প্রতারনার কোন উপযুক্ত মাধ্যম জেনে গেছে। তাই যদি হয় তবে সেই শয়তানীর মাধ্যমটা কি হতে পারে।বর্তমানে শয়তান এত শক্তি সামর্থ কোথায় পাবে এভাবেই তার কার্যক্রম বহাল রাখতে।সমগ্র মানব জাতীর সঙ্গে শয়তানী করার আধুনীক মাধ্যম পাবেই বা কেন শয়তান। কিংবা কিভাবে আধুনীকতম শয়তান তৈরী হয়। পুরাতন শয়তান কাহিনীতো এযুগে আড়ালে চলে গেছে। গোপাল ভাঁড় সেটাও মানুষের মন থেকে বিস্মৃত হয়ে যাবে।

ধরা যাক নবীদের যুগের শয়তানও পড়ালেখা জানতো না। কারন তালগোল না পাকিয়ে তাল মিলাতেই হবে। মানুষের সাথে বাঁদরামী করলেই বাঁদর হয়। হবে। আর শয়তানী করতে হলে মানুষকে ধোঁকা দিতে হয়। তাই শয়তানকে অবশ্যই মূর্খ মানুষ এবং অথবা জ্ঞানী দুই দিকটাই বুঝতে হবে। পড়তে হবে এবং তার কাহিনী লিখতেও জানা প্রয়োজন। কেননা তাকেও তো মানুষেরই বিষয়বস্তু সম্পদ সবকিছু গুছিয়ে এবং সাবধানে রাখার নিয়ম মেনেই চলার জন্য তাল মিলানো।কিন্তু তাকে বোঝা যাবে না চেনাও যাবে না। শয়তানের বহুমূখী সামর্থ্যের মধ্যেও মানুষের এসব বিষয় আশয় নিয়ে আগ্রহ থাকবে বলে ধরে নেয়া যায়। তবুও মানুষ শয়তানকেই ভয় পেত বেশী এটা সত্য না মিথ্যা। মানুষকে শয়তান সম্বন্ধে সতর্ক করার দরকার এটা স্রস্টার ধারনা।এবং এটা নবীদের কাজকর্ম।

কথা থাকে যে রুচিশীল মানুষের পড়তে পারার ধারনা নিয়েই বই লেখা হচ্ছে। এখানে আমার মত অর্বাচীনদের রুচী কতটা সমৃদ্ধ হবে নতুন ধারনায় পড়তে গিয়ে আমি সেটাই বুঝতে পারছি না।

যুগটা এখন এমন হয়ে গেছে যে টাকা ছাড়া চলবেই না।সবাই এটা বুঝতে সক্ষম।বুঝে শুনেও এই লোকগুলি কেন যে শুধু ফারাক তৈরী করে বসে এটাও বোধগম্য না। কেউ কেউ নন্দ দুলালের মত বুঝলেও কেউ কেউ আবার নিজের জীবনে বুঝতে পারে হাড়ে হাড়ে। এভাবেই চিন্তার ক্ষেত্রগুলিকে একমুখি একটি বাস্তবতায় ঠেলে দিয়ে রাস্ট্র এবং মানুষের জীবন যাপনকে পরিশীলিত করতে চাইলেও অনেক ক্ষেত্রে এটা ব্যার্থ হচ্ছে।কারন লেনদেনে অস্বচ্ছতা সেটা তো আছেই প্রতারক চক্রও প্রকাশ্যে সক্রিয় থাকছে। সচেতন মানুষ এখানে একটুও অসচেতন হতে পারবে না। 

আত্মার দূরত্বে মানুষে মানুষেও ভীষন দূরত্ব তৈরী হয়েছে। টাকাপয়সা নিয়ে শত্রুতা বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় মানুষের সচেতন মনকে অনেক বিক্ষিপ্ত করে ফেলেছে।অথচ এরাই বাহাদূরী করে বলে টাকা ছাড়া চলে না। গাছ এবং পাথরের মত মন নিয়েও আবার এই মানুষকেই দৌড়াতে হয় টাকা কামানোর উদ্যেশ্যে।এদিক ওদিক তাকানোর ফুরসৎ বা সময় কোনটাই তো নাই। তাহলে? এসব অবস্থা লিখে রাখার মত মানুষের এখন বড়ই অভাব।লেখনী  রুচিশীল মানুষের উদ্দেশ্যে হলেও এবং তার জন্য  পড়ে ও বোঝার মত পর্যাপ্ত বইও মজুদ আছে।এসব বই নন্দদুলালদের প্রচুর পছন্দের হলেও লেখার মান তাদের ততটা উন্নয়ন হয় নি। কারন এসব বইয়ের উদ্যেশ্য হচ্ছে আসলে বানিজ্যিক। 

খেজুর গাছও তো গাছ। কিন্তু মানুষতো আর একটি একটি গাছআত্মা না।মানবাত্মা। তার একটা সামাজিক চাহিদা আছে। একটুখানি নড়েচড়ে বসতে গেলেই দেখা যায় যে এসব চলমান মানুষ নামের গাছপালা ও তাদের পরগাছা এইসব অর্থনৈতীক চালচিত্র শুধুই কোন না কোন অনৈতীক বাধাবিঘ্ন দিয়ে ভরা এবং মানবআত্মার দূর্দশা বাড়ানোর কারখানা।

দুঃখী মানুষের আত্মিক উন্নয়ন এখন সীমাহীন খাজুইরা আলাপের কারনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটা বৃটিশদের রাজত্বের পর মানব জীবনধারনের উপর একটা প্রকাশ্য বাধা স্বরূপ।এটা এখন স্বাধীনতার চরম অবনয়ন।

দুইটি লেবেল আইডেন্টিফাইড। একটা হল এখানে সুনশান নীরবতাতে শব্দ না থাকলেও শব্দকল্পদ্রুম হবেই। ব্লা ব্লা ব্ল্যাক শিপ। দ্বিতীয় লেবেল হল পৃথিবীতে সময় বহিয়া যায় গাছপাথর। অর্থাৎ কেউ আসেনা। কোন মানবাত্মা নাই। এটা কি কোন মস্তিস্ক নেটওয়ার্ক নাকি দুধের ঘুঁটানি আজাইরা টাইম তা জানার উপায় নাই। জেলের বন্দী অথবা জেলে পাড়ার জাউলা তা ও জানিনা।

বাংলা ভাষায় কি আলো আছে নাকি অন্ধকার এখনও আন্তর্জাতীক মায়ের ভাষায় এখনও কাটছে না।বাংলা ভাষার গভীর তত্বের তিনটি উদাহরন পেশ করা যাক। নন্দলালের গাড়িচাপা পড়ার ভয়। স্বদেশের জন্য জীবন দেয়ার ইচ্ছা তার তবুও উত্যুঙ্গে। দ্বিতীয়টা হচ্ছে ক্যাচাল, ''সুখে থাকলে নাকি ভূতে কিলোয়''। এবং পরেরটা হচ্ছে জনগনের আঁচল। "ছেড়ে দে মা কেঁদে বাচি''।শুধু শেষেরটাই এখানে যদি সত্যই হয় তবে এটাই সবচেয়ে ভালো অবস্থায়।বাকি দুইটা বোধগম্য না। ইলেকশান লাগবে। আর এসব মুখস্ত করতে বা জানতে কোনদিনই রকেট সাইন্স লাগবে না। কেবল এইটুকুই বুঝতে হবে যে এই গভীর তত্বের গভীরতা কতটুকু রয়েছে।বিদেশী ভাষায় এইগুলির অনুবাদ আছে কিনা জানা নাই। তবে দেশী অভিজ্ঞতা আমার যথেস্ট আছে। বিদেশে যদি পোশাকের মত এসব গুরুতর বাক্যগুলি খাপখাইয়ে নেয় তাহলে মানুষের খবর আছে।

দূর্নীতি বিরোধী বিচার বিশ্লেষনগুলির দ্রুত অবসান দরকার। এইসমস্ত ভাইব কেবল ব্যাবহারিক এক একটি রঙ। এই রঙ ঠিকমত ব্যাবহরিত না হলে পরে সমাজে মারাত্বক রং হবে সেটা। বিলাই ধরাও যায় আবার পালা ও যায়।  কিন্তু বানর হয়ত ধরা যাবে কিন্তু পালতে গেলে সমস্যা।

মন্তব্যসমূহ

A2