হা পিত্যেশ কিংবা হতাশার চিত্রঃ- মানুষের অনুকরন করে চলার সামর্থ কি পরিমানে আত্মীকরন হতে পারে ব্যাক্তির জীবন অথবা বর্গের সম্পদ বিতরন ভারসাম্যহীনতায় আর একচেটিয়া অনুকরন কতটুকুই বা টেকসই হয় সমাজ বাস্তবায়নে।

মানুষের অনুকরন করে চলার সামর্থ কি পরিমানে আত্মীকরন হতে পারে ব্যাক্তির জীবন অথবা বর্গের সম্পদ বিতরন ভারসাম্যহীনতায় আর একচেটিয়া অনুকরন কতটুকুই বা টেকসই হয় সমাজ বাস্তবায়নে। 


অতীত হতেই মানুষ পরস্পরের অনুকরন করেছে। কোন জাতী অন্য কোন উন্নত সমাজের অনুকরন করে  উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সক্ষমতা দেখিয়েছে। আবার কোন গোষ্ঠি সরাসরি সৃস্টিকর্তার কাছ থেকে নিয়মকানুনের বার্তা লাভ করেছে বলে দাবী করেছে। এবং কিছুটা অদ্ভুত হলেও সত্য যে অনেক জাতী এবং সমাজ এই ঐশ্বরীক নির্দেশপ্রাপ্ত পাইওনীয়ার জাতীর অধিনস্ত হয়ে গেছে অনুকরনীয় বলে বিশ্বাস স্থাপন করেছে। কেউ আবার তাদের এতটাঈ অনুকরন করেছে যে তাদের সংস্কৃতি পুরোপুরি অথবা আংশিক গ্রহন করে নিয়ছে। এরকম আরও অসংখ্য উদাহরন রয়েছে যেখনে একটি মানব গোষ্ঠি অন্য কোন গোষ্ঠির অনুকরন করতে প্রবৃত হয়েছলো। 


এটা একটি চলমান প্রকৃয়া এবং এর প্রধানতম বিষয়টি অর্থাৎ আলোকপ্রাপ্ত দিকটির ঔজ্জল্য অথবা সার্বজনীন গ্রহনযোগ্যতার কাছে হেরে গিয়ে মানব সমাজে এই একচেটিয়া অনুকরন নিয়ে অনেক্ষেত্রেই কোন প্রশ্নই উঠে না। মানুষের তীব্র বিরোধীতার কোন কারন তবু থাকলেও অতীতের সামন্তরিকে ঘটনাগুলোর মাধ্যমে নিস্পত্ত্বিও হয়ে যায়। এবং অতঃপর মানুষ তাদের সকল মানবিক অধিকার বলে নুতন কোন সমালোচনা বা বিচার বিশ্লেষনে গত্যান্তরে অসমর্থ হয়ে পরে। অগত্যা বিভিন্ন ধরনের অসমর্থতার চিত্র ফুটে উঠে বাধাবিঘ্নহীন এবং নতুন কোন অভিজোযন অথবা সেই প্রাথমিক স্তরের সেই অনুকরন নতুন ভাবে শুরু হয়। তবে এই দ্বিতীয় স্তরের অনুকরন আসলে অভিজোযন বিধায় এপর্যায়ে ব্যাপক সমালোচনা এবং বস্তুগত সংঘাতের উপস্থিতিও থাকে।


‘’মুই কি হনু রে…’’ একদিন না একদিন প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে মনের গভীরে প্রত্যেক মানুষের চিন্তাশীলতায় এই অনুভবের এক বা একাধিক রূপ দেখা যাবেই। এটা এখন নিশ্চিত করে বলা যায়। অনুকরন না করলেও এরা বুঝেশুনে চুরি তো করছেই। চুরিই হোক অথবা ডাকাতি এটা কিন্তু আসলে সহজ সাধারন ভাষায় বলা চলে  বিপরীত ও বিচিত্র ছন্দের একপ্রকার অনুকরনই।


অনুকরন শুরুতেই কিন্তু ব্যাক্তির অনুকরন না ও হতে পারে। তেমন হলে শীম্পাঞ্জী বা বানরের প্রসঙ্গ আসবেই। অথবা কোন মনবৈকল্য হতে পারে যেটা গভীর পর্যবেক্ষনে উদঘাটন হয়। এই গভীর পর্যবেক্ষন ক্ষমতা সমাজের থাকে না। শুধু পন্ডিতরাই এটা বোঝাতে পারেন। একটি অনুকরনীয় দৃস্টান্ত তবে কি আসলেই একটি অনুকরন নাকি এতদিন ধরে চলমান কোন ভয়ানক মনোবৈকল্য। কিংবা ''মুই কি হনু রে’’ আস্ফলন।

মন্তব্যসমূহ

A2