কোন কোন সমাজে সামাজিক আচরণে ব্যক্তি জীবনের উপরে ফোকাস বাড়ার কুফল গুলি:-
কোন কোন সমাজে সামাজিক আচরণে ব্যক্তি জীবনের উপরে ফোকাস বাড়ার কুফল গুলি:-
সমাজে সামাজিক চালচিত্রের উপর ফোকাস কমে গিয়ে হঠাৎ ব্যক্তিজীবনের উপর ফোকাস বাড়লে বা প্রতিস্থাপিত হলে তার কুফল গুলি হয় খুব খারাপ। কেননা ব্যাক্তির জীবন কোন দর্শন নয়। অধিকন্তু ব্যার্থতার হিসাবে গেলে সামাজ জীবনের কাছে কখনো কখনো সেটা হয়ে উঠে একটা অভিশাপ কিংবা হয়ে যায় কিছু জাজ্ব্যল্যমান মিথ্যাচার।তখন ভাষাও হয় বিকৃতির শিকার।
যে কোন সমাজে সমাজ জীবনের ব্যর্থতার কারণে দেখা যায় যখন সমাজের মধ্যে গঠনমূলক কার্যক্রমের খুব ঘাটতি তৈরি হয়। এবং এমতাবস্থায় ফোকাস কমে গিয়ে তখন ব্যক্তির জীবনের উপরে ফোকাস বেড়ে যাচ্ছে।অথবা প্রতিস্থাপিত করা হচ্ছে। এটা খুবই মারাত্মক এক পরিস্থিতি। কারণ সামাজের গঠন মূলক বিষয়গুলিকে পরিকল্পিতভাবে পৃষ্ঠপোষকতা না দেখালে পরে তখন ব্যক্তি জীবনের উপর ফোকাস বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। মানুষের জীবনের সফলতা এবং ব্যর্থতা দুটো সমান তালেই চলে। যে কোন ব্যক্তি জীবনের সফলতা যদি অর্থনৈতিক কারণেই ঘটে থাকে তখন তার বিপরীতে দেখা যাবে যে প্রকৃতক্ষে এর মধ্যে অনেক ধরনের ব্যর্থতা রয়েছে। কিন্তু সামাজিক জীবন যাপনের উপরে ফোকাস কমে গিয়ে যখন মানুষের মনের মধ্যে সম্পূর্ণ ব্যক্তিনির্ভর চিন্তাভাবনা গুলি বাড়তে থাকলে পরে সেটা বেশ বিপদজনক অবস্থা তৈরি করবে।
সমাজে মানুষের উন্নয়নের জন্য পৃষ্ঠপোষকটার অভাব দেখা দিলে তখন দেখা যায় যে সমাজ জীবনের উপরে মানুষের ফোকাস কমতে থাকে এবং মানুষের মনের মধ্যে ব্যক্তির জীবন যাপনের উপর ফোকাস বৃদ্ধি পাচ্ছে বা ব্যক্তিমানষ তখন প্রস্তুত হয় গুরুত্বপূর্ন ব্যাক্তিদের চিন্তাধারার ফোকাস গুলি নিয়ে খেলতে,এবং বাড়তেও দেয় একপ্রকার অনায়াসে। সমাজের উপরে ঘৃণার কারণেও এ অবস্থা হয়। অর্থাৎ অভিশপ্ত সামাজিক জীবন যাপনের ওপর মানুষের ফোকাস কমে যেতে পারে কিংবা আকর্ষণ হারিয়ে ফেলতে পারে। এর ফলেও ব্যক্তিজীবনের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে। কল্যান সমাজের ধারনার অভাবই হচ্ছে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
ব্যাক্তি মানুষের চিন্তাধারা গুলি একাধারে দুর্নীতি কিংবা অপরাধের সাথেও কিছুটা সম্পৃক্ত থাকে। সে কারণে ব্যক্তির নিজস্ব মন-মানসিকতার চিন্তাগুলিকে প্রকাশ্যে দেখা যায় না এবং সাধারন চিন্তা চেতনার থেকে পৃথক করে দেখা কিংবা আলাদা করাও সম্ভব হয় না। অথচ তবু এভাবেই একমুখী ব্যাক্তিকেন্দ্রীকতায় সামাজিক জীবনকে চিত্রায়িত করলে পরে তখন সমাজের উপর মানুষের প্রভাবও কমতে থাকবে। অপরাধ বাড়বে। পাশাপাশি বেড়ে যাবে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির চিন্তাধারা গুলি। অর্থাৎ ধর্ম, মন্ত্র, তন্ত্র ইত্যাদি ব্যাক্তির ভাষ্য অথবা মতামত, এসবের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। ‘’সঙ্গদোষে লোহা ভাষে’’।
ঐ যে কথায় বলেনা ‘’হাতিঘোড়া গেল তল, গাধায় বলে কত জল’’। সুতরাং ব্যাক্তি জীবনের উপরের উপর ফোকাস বাড়ানোর চেস্টা হলে সেটা হবে অপকৌশল। তাকে প্রতিহত করা সকলেরই উচিৎ, তা সেটা কোন ব্যাক্তির দ্বারাই সৃস্টি হোক বা কোন সামাজিক ব্যার্থতার ফলে উদ্বুদ্ধ।আর এটা উদ্দেশ্যমূলক আচরন হলে তখন সমাজ বিজ্ঞানীদের উচিত হবে তার পিছনে কি কি কারন থাকতে পারে তা নিয়ে মাথা ঘামানো এবং সেটা জনসমুক্ষে পরিস্কার করা।
পৃথিবীতে এমন কিছু সমস্যা থাকে যেগুলো মানুষের অস্তিত্বের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িত। অস্তিত্বের মূলে প্রোথিত এসব সমস্যার উপর সহসাই কোনধরনের ফোকাস করা হয় না। কারন এমনিতেই এসব অস্তিত্বের সংকটগুলি সাধারনতঃ মানুষের বোধগম্যতার বাইরে। কিন্তু একটি বিকৃত পরিবেশে এবং কোন না কোন ঠেকায় পড়লেই তবে মানুষ অস্তিত্বের ব্যাপারগুলি নিয়ে সরাসরি কথা বলতে রাজী থাকে। এটা একটি গঠনমূলক আলোচনার ধারাকে রক্ষা করবে বলেই হয়তো তখন এইসব বিষয় নিয়ে সরাসরি কথাগুলি বাধ্যতামূলক মূল আলোচনায় স্থান করে নিতে দেখা যায়। অন্যথায় সাধারন জনগনের হাতে থাকা সক্ষমতার ভিতরে অস্তিত্বের সঙ্কটের কোন কিছুকেই সচরাচর আলোকপাত করতে দেখা যাবে না।কারন তাদের ভাষা এসব বিষয়ে সমসময়েই একটি ভিন্ন ধরনের মাত্রা এবং সুরগুলি অনুসরন করবে। এটা হচ্ছে আধুনিক গনতন্ত্রের সূতিকাগার। তাছাড়া গনতান্ত্রিক চর্চার ভিতর এর সমাধান আছে বলে অনেকেরই বিশ্বাস। অর্থাৎ জনগনের সক্ষমতার ভিত্তিকে দূর্বলতায় রাখলে পরে অস্তিত্বের সঙ্কটের সমাধানের ব্যাপারে যথাযথ ভূমিকা রাখতে এগিয়ে যাবার মত প্রগ্রেসীভ মাইন্ডের কাউকেই চোখে পড়বে না। আশপাশে।আশপাশে কিবা কোন নাগপাশে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন